Advertisement

নতুন কারিকুলাম সুযোগ নাকি সংকট জেনে নিন

নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি বড় সংকট শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াবে নাকি কমবে। শিক্ষক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের কি করণীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কি আছে নতুন কারিকুলামে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
নতুন কারিকুলাম সুযোগ নাকি সংকট জেনে নিন

বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন আশা করি অনেক কিছু জানতেও শিখতে পারবেন।

ভূমিকা:

বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বৃহত্তম পরিবর্তন এসেছে। সরকার ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন একটি কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রম চালু করেছে। এই নতুন কারিকুলাম এর মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও প্রতিযোগিতার সাথে মুখোমুখি হতে সাহায্য করা। এই কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের

পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা যোগাযোগ দক্ষতা সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা ও নৈতিক মূল্যবোধ বাড়ানোর জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই নতুন কারিকুলাম এর সম্পর্কে সবাই একমত নয়। অনেকেই এটির বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা করেছেন। তারা

মনে করেছেন এই কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দিবে, পাবলিক পরীক্ষা তুলে দিয়ে শিক্ষার মান কমিয়ে দিবে, শিক্ষক ও অভিভাবকদের চাপ বাড়বে এবং শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ কমিয়ে দিবে। এই এ বিষয়ে জানতে নিচের সব অংশটুকু ফলো করুন। আজকের এই আঁটিকে আরো জানতে পারবেন। নতুন 

কারিকুলাম সুযোগ নাকি সংকট। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের কি কি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা কর্মের বৈশিষ্ট্য। যোগ্যতা কেন প্রয়োজন বাস্তবমুখী শিক্ষা কি। শিক্ষার যোগ্যতা নিয়ে কিছু উক্তি। সবকিছু জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

নতুন কারিকুলাম সুযোগ নাকি সংকট জেনে নিন

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের অনেক সমালোচনা অনেক গুণবাচক কথা আলোচনা হচ্ছে। নতুন কারিকুলাম নিয়ে প্রত্যেক মানুষেরই মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। আজকে আমরা আলোচনা করব নতুন কারিকুলামের সুযোগ নাকি সংকট। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বৃহত্তম পরিবর্তন আসছে। ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ 

মাধ্যমিক পর্যন্ত নতুন একটি কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। এই নতুন কারিকুলাম এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত দক্ষতা ও জ্ঞান সরবরাহ করা। কিন্তু এই পরিবর্তনের সাথে সাথে কি সব সুযোগও চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। নতুন কারিকুলাম এর অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে
 নতুন কারিকুলাম এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি শিক্ষা কেন্দ্রিক। এটি মানে হচ্ছে শিক্ষার্থীরা নিজেরা করে শিখবেন, শিক্ষকরা শুধু নির্দেশনা দেবেন। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা নিজের মতামত সৃজনশীলতা ও সমালোচনা বিকাশ করতে পারবে।

এছাড়া নতুন কারি কলমে পরীক্ষার সে ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রতিবেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা বাইরে ভেতরের কথা মুখস্ত করার পরিবর্তে বাস্তব জীবনে কাজে লাগানোর উপায় শিখবে।নতুন কারিকুলামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে দশটি ভবিষ্যৎ দক্ষতা। দক্ষতা গুলো হলো।
  • সুক্ষ চিন্তা
  • সৃজনশীলতা
  • সমস্যা সমাধান
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ
  • যোগাযোগ
  • সহযোগিতা
  • নৈতিকতা
  • নিজের স্বাস্থ্য ও সুখবৃদ্ধি
  • বিশ্বব্যাপী সচেতনতা।
এই দক্ষতা গুলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে। নতুন কারিকুলামের রয়েছে অনেক সুযোগ। শিক্ষার্থীদের অনেক সুযোগ খুলে দেওয়া হচ্ছে যেমন। শিক্ষার্থীদের নিজের বুদ্ধি, আগ্রহ পছন্দ অনুযায়ী সব ধরনের কাজ করতে পারবে মুখস্ত বিদ্যা মুখস্ত পড়া এ বিষয়টা থাকছে না। নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশের সুযোগ রয়েছে।

নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের কি কি দক্ষতা অর্জন করতে হবে

২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড নতুন কারিকুলাম তৈরি করেছে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের কি কি দক্ষতা অর্জন করতে হবে এ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
১. সুখ্য চিন্তা দক্ষতা: কোন একটি বিষয় বা সমস্যাকে সমাধান করার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ অনুসন্ধান করা, বিশ্লেষণ করার দক্ষতা।

২. সৃজনশীল চিন্তার দক্ষতা: গতানুগতিক চিন্তার বাইরে গিয়ে নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে নতুন ধারণা সৃষ্টি এবং বাস্তবায়নের দক্ষতা।

৩. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: কোন একটা সমস্যা কেন হয় সেটা বিশ্লেষণ করা এবং সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করে সেই সমস্যা কিভাবে সমাধান করতে হয় এই দক্ষতা।

৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা: আগের তিনটি স্ক্রিনশটি কিভাবে আয়ত্ত করতে পারলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তি এবং তথ্যকে প্রদান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে যোগ দেওয়া হয়েছে।

৫. যোগাযোগ দক্ষতা: অন্যের মতামত ও অবস্থানকে সম্মান ও অনুবাদন করে, প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নিজের ভাব, মতামত যথাযথ মাধ্যমে সৃজনশীল ভাবে প্রকাশ করতে পারা।

৬. সহযোগিতার দক্ষতা: পারস্পরিক সহযোগিতা, সম্মান ও সম্প্রতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ স্থানের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারা।

৭. শৈল্পিক দক্ষতা: নতুন দৃষ্টিকোণ, ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন পথ, কৌশল ও সম্ভাবনা সৃষ্টি, করে সল্পিকভাবে তা উপস্থাপন এবং জাতীয় এবং বিশ্ব কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারা।

৮. স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা: নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়ে নিজ অবস্থান ও ভূমিকা জেনে ঝোঁকিহীন নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ তৈরি করতে ও বজায় রাখতে পারা।

৯. দুর্যোগ মোকাবেলা ও জীবন বাঁচানোর দক্ষতা: পরবর্তীনশীল পৃথিবীতে ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে মানবিক মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারা।

যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা ক্রমের বৈশিষ্ট্য

নতুন কারিকুলাম নিয়ে উপরে আমরা আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলে আমরা জানবো। যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা গরমের বৈশিষ্ট্য এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক, যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম এর বৈশিষ্ট্য শিক্ষা একটি মানবাধিকার এবং একটি জীবন যাপনের মূল উপাদান। শিক্ষা মানুষের জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গ, ও মূল্যবোধ 

উন্নয়নের সাহায্য করে। শিক্ষা মানুষকে সমাজের সদস্য হিসেবে সম্মানিত, সক্রিয় ও দায়িত্বশীল করে তোলে। শিক্ষা মানুষের স্বাধীনতা, ন্যায় বিচার ও শান্তির পক্ষে প্রতিবাদ ও প্রতিষ্ঠা করার শক্তি দেয়। শিক্ষা মানুষের সৃজনশীলতা, উদ্যোগী নেতা ও উন্নয়নমূলক চিন্তার প্রতি উৎসাহিত করে। শিক্ষা মানুষের জীবনমান উন্নত করে এবং তাকে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, 

সমাজ ও সাংস্কৃতির প্রতি সচেতন করে। এইসব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শিক্ষাক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাক্রম হলো একটি পরিকল্পনা যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপর কি প্রভাব ফেলবে তা নির্ধারণ করে। শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের কি কি শিখাবেন এবং কিভাবে তাদের শিক্ষার মূল্যায়ন করা হবে তা নির্ধারণ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাথমিক

 ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণীত হয়েছে। যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম হলো এমন একটি শিক্ষা কর্ম যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষার কার্যক্রমে অংশ নেয়। যোগ্যতা বলতে সুনির্দিষ্ট আচরণকে বোঝানো হয়। যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান দক্ষতা দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়ন করে। যোগ্যতা ভিত্তিক

 শিক্ষাক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সরবরাহ করা। যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষা কর্মের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো: যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা কি কি যোগ্যতা অর্জন করবে তা সুনির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি যোগ্যতার জন্য শিক্ষার

 উদ্দেশ্য, শিখন কার্যক্রম, শিখন সংশোধন ওম মূল্যায়ন ক্রিয়া-কলাপ নির্ধারণ করা হয়। যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা নিজের জ্ঞান অনুযায়ী সকল কাজ করতে পারে।

যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন কৌশল

প্রথমেই আমরা আলোচনা করেছি নতুন কারিকুলাম এর বিষয়। তারপরে আমরা জেনেছি যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম এর বৈশিষ্ট্য আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব। যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন কৌশল। চলুন শুরু করা যাক তাহলে। যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন কৌশল হলো একটি শিক্ষার পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির 

মাত্রা ও মান পরিমাপ করে। এই পদ্ধতিটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের সাফল্য নির্ভর করে না, বরং তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বিকাশের উপর ফোকাস করে। এই পদ্ধতিটি শিক্ষার্থীদের নিজেদের শিখন এর প্রক্রিয়া ও ফলাফলের উপর সচেতন করে, তাদের সব মূল্যায়ন, সহপাঠী মূল্যায়ন ও শিক্ষক মূল্যায়নের মাধ্যমে

 প্রতিফলন ও উন্নয়নের সুযোগ দেয়। এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শিখনের মোটিভেশনে, আত্মবিশ্বাস, সহযোগিতা ও সমস্যার সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন কৌশল এর বৈশিষ্ট্য। এটি শিক্ষার্থীদের শিখনের প্রক্রিয়া ও ফলাফলের উপর গুরুত্ব দেয় না শুধু ফলাফলের উপর। এটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়নের মাধ্যমে শিখনের 

পদ্ধতি ও সমস্যার সমাধানের উপর ফিডব্যাক দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের নিজেদের শিখন এর উপর সচেতন করে তাদের স মূল্যায়ন সভাপতি মূল্যায়ন শিক্ষক মূল্যায়নের মধ্যে প্রতিফলন উন্নয়নের সুযোগ দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের শিখনের মোটিভেশন আত্মবিশ্বাস সহযোগিতা সমস্যার সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন কৌশলের 

কিছু উদাহরণ। শিক্ষার্থীদের একটি প্রকল্প ভাব প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে বলা যা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীরা একটি পরীক্ষা না দিয়ে তাদের শিক্ষার প্রকাশ করতে পারে তাদের নিজস্ব জ্ঞান দিয়ে। যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই উপকারী।

যোগ্যতা কেন প্রয়োজন বাস্তব মুখী শিক্ষা কি

আমরা আর্টিকেলের শুরু থেকেই নতুন কারিকুলাম নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি বিস্তারিত জেনেছি এখন আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি। যোগ্যতা কেন প্রয়োজন। চলুন শুরু করা যাক। যোগ্যতা বলতে আমরা নির্দিষ্ট আচরণকে বোঝানো হয়। যোগ্যতা অর্জন করা মানে কোন কাজ বা ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করা। যোগ্যতা

 অর্জন করা একজন ব্যক্তিকে তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনে, কর্মজীবনে উন্নতই করবে, সমাজের সম্মান অর্জন করতে এবং নিজের স্বপ্ন পূরণের সহায়তা করে। যোগ্যতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থী গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে নতুন নতুন জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের সাহায্য করে। শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে তার স্বাভাবিক প্রতিভা ও সম্ভাবনা 

প্রকাশের সুযোগ দেয়। শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে তার পছন্দ কাজ বা ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের পথ দেখায়। যোগ্যতা অর্জনের জন্য শিক্ষা কেবল বই পড়া বা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া নয়। শিক্ষা মানে বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষেত্র ও পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা, বোঝা ও চিন্তা করা। শিক্ষা মানে নিজের কাজের দায়িত্ব স্বীকার করা ও নিজের কাজের মান নিশ্চিত করা।

 শিক্ষা মানে অন্যের মতামত, ভাবনা অভিজ্ঞতার সম্মান করা ও তাদের থেকে শেখা। শিক্ষা মানে নিজের ভুল স্বীকার করা ও সংশোধনের চেষ্টা করা। শিক্ষা মারা নিজের স্বপ্ন লক্ষ পরিকল্পনা গড়ে তোলা ও তাদের পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়া। যোগ্যতা অর্জনের জন্য শিক্ষা একটি অনবরত প্রক্রিয়া। এটি শুধু বিদ্যালয়,

 কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার লেখার মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয় না। এটি বাস্তব জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা ঘটনাও পরিস্থিতির মাধ্যমেও হয়। এটি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রদান ও সংস্থার মাধ্যমে হয়। এটি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে হয়। নিজের কাজের মাধ্যমে হয় এটি নিজের শিখন এর মাধ্যমে হয়। হয়েচে নিজের চিন্তায় বিচার

 সৃজনশীলতার মাধ্যমেও হয়। যোগ্যতা অর্জনের জন্য শিক্ষা একটি চ্যালেঞ্জিং ও রোমাঞ্চকর প্রক্রিয়া। এটি একজন ব্যক্তির নিজের সীমা ও সম্ভাবনা চেনার সুযোগ দেয়। এটি একজন ব্যক্তিকে নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে সাহায্য করে। তাই আমাদের মুখস্ত শিক্ষা গ্রহণের থেকেও বাস্তব শিক্ষা

 গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আপনি মুখস্থ কোনো কাজ করতে পারবেন কিন্তু বাস্তবে মানসম্মত কোন কাজ করতে পারবেন না। যদি না আপনার বাস্তব মুখী শিক্ষা না থাকে।

শিক্ষার যোগ্যতা নিয়ে কিছু উক্তি

আমরা তো শুরু থেকেই নতুন কারিকুলাম বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যোগ্যতা নিয়ে অনেক কিছুই আলোচনা করেছি জেনেছি। এখন আমরা আলোচনা করব শিক্ষার যোগ্যতা নিয়ে কিছু উক্তি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

১. শিক্ষার যোগ্যতা হল নিজের মত চিন্তা করার ক্ষমতা, নিজের মতো কাজ করার দক্ষতা, নিজের মত মানুষ হওয়ার সাহস।

২. শিক্ষার যোগ্যতা হলো জ্ঞানের সীমা বাড়ানো, অজানার সম্মুখীন হওয়া, অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধি অর্জন করা।

৩. শিক্ষার যোগ্যতা হল মানুষের মূল্যবোধ করা, মানুষের অধিকার সম্মান করা, মানুষের কল্যাণ।
৪. শিক্ষার যোগ্যতা হল সত্যের পথে চলা, ন্যায়ের পক্ষে দার হওয়া, শান্তির বাণী বলা।
৫. শিক্ষার যোগ্যতা হলো সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করা, সৃষ্টির সৌন্দর্য উপভোগ করা, সৃষ্টির সম্পদ রক্ষা

 করা। আশা করি আপনি শিক্ষার যোগ্যতা নিয়ে কিছু উক্তি পেয়েছেন আশা করি আপনার ভাল লেগেছে।

উপসংহার:আজকের আটিকেলে আপনারা জানতে পেরেছেন নতুন গাড়ি কুলাম নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষার যোগ্যতা নিয়ে কিছু উক্তি। যোগ্যতা কেন প্রয়োজন বাস্তবমুখী যোগ্যতা কি আরো অনেক বিষয় নিয়ে জানতেও শিখতেও বুঝতে পেরেছেন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন নতুন কারিকুলাম নিয়ে।

শেষ কথা: আজকের আর্টিকেলে যদি বাচনভঙ্গি ও ব্যাকরণের কোন ভুল হয়ে থাকে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে আপনার উপকার হয়ে থাকে যদি কিছু শিখে থাকেন তাহলে আপনার আত্মীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।

প্রশ্ন: নতুন কারিকুলাম এর মূল উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: নতুন কারিকুলাম এর মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরতা পরিবর্তে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে শেখানো। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। এছাড়া থাকছে না নবম শ্রেণীতে বিবেক পছন্দের সুযোগ। এর বদলে একাদশ শ্রেণীতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা পছন্দমত বিভাগে পড়তে পারবেন।

প্রশ্ন: নতুন কারিকুলাম এর বাস্তবায়নে কি কি সমস্যা হতে পারে?

উত্তর: নতুন কারিকুলাম এর বাস্তবায়নে কি কি সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে। কিছু অভিভাবক ও শিক্ষক মনে করছেন নতুন কারিকুলাম এর মাধ্যমে স্থলে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা যথেষ্ট নয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক নানান কাজের চাপ বেড়েছে যা অনেক অভিভাবকের ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরো কিছু শিক্ষাবিদ মনে করেছেন নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন ছিল সেটি না নিয়েই কাজ শুরু করেছে সরকার।

প্রশ্ন: নতুন কারিকুলাম এর ফলাফল কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে?

উত্তর: নতুন কারিকুলাম এর ফলাফল কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা নিয়ে এখন স্পষ্ট কোন পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না। নতুন কারিকুলামের দশম শ্রেণীর আগের সব পাবলিক পরীক্ষা তুলে দেওয়া হয়েছে। এইচএসসিও এইচএসসি পরীক্ষার পদ্ধতিতে আনা হয়েছে পরিবর্তন এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা কতটুকু উন্নত হবে তা নিয়ে দণ্ড নির্ধারণ করা প্রয়োজন। নতুন কারিকুলা এ পরীক্ষার ফলাফল হিসেবে এখন বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে ব্যবহারিক এর উপরে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন