Advertisement

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি কি এবং কেন এটি নিতে চান? এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিন এই লোন এর উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, লোন নেওয়ার পদ্ধতি এবং সুবিধা। এই লোন এর মাধ্যমে আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য সুদ মুক্ত ভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিন আরো জানুন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় পুরো বিষয়টি জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন কোন অংশ মিস করবেন না।

ভূমিকা:

বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির বৃহৎ অংশ বহন করে থাকেন। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে দেশের মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি করেন। তারা নিজেদের এবং পরিবারের জীবনযাপন উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) একটি বিশেষ।

 ভূমিকা পালন করে থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা আরো বিস্তারিত জানব। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি। কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি

এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে দেশের মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি করে থাকেন।

 তাদের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের লোন বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এদের মধ্যে একটি হলো ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি।ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি হলো একটি বিশেষ ধরনের বিনিয়োগ প্রকল্প, যেখানে প্রবাসীদের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সুদবিহীন বিনিয়োগ প্রদান করা হয়।

এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রহণকারীরা বিনিয়োগের পরিমাণ অনুযায়ী নির্ধারিত মুনাফা বা শেয়ার প্রদান করে থাকেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রবাসীরা নিজেদের বা পরিবারের জন্য বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিতে পারেন।ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিতে হলে আবেদনকারীর কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এই শর্তগুলো হলো
  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবস্থান করা দেশের কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হবে।
  •  আবেদনকারীর পাসপোর্ট, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি বৈধ হতে হবে।
  • আবেদনকারীর নিজের বা নমিনীর ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে।
  •  আবেদনকারীর মাসিক আয় নির্ধারিত মান অথবা তার বেশি হতে হবে।
  •  আবেদনকারীর বিনিয়োগের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হতে হবে।
  • ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিতে চাইলে আবেদনকারীর নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে
  • আবেদনপত্র (ইসলামী ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে)
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
  • পাসপোর্ট, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট এর ফটোকপি
  •  নিয়োগ পত্র বা অন্য কোনো প্রমাণপত্র
  •  মাসিক আয়ের রশিদ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • নিজের বা নমিনীর ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর
  • বিনিয়োগের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতির বিশেষ দিকগুলো হলো:
  •  এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের সময়কাল সর্বোচ্চ ৫ বছর হতে পারে।
  •  এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০ লাখ টাকা হতে পারে।
  •  এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের মুনাফা বা শেয়ার প্রতি মাসে প্রদান করতে হবে।
  • এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের জন্য কোনো জামিন বা কোল্যাতরাল প্রয়োজন হয় না।
  • এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের জন্য কোনো প্রক্রিয়ার মূল্য বা অগ্রিম প্রদান করতে হয় না।
এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের জন্য কোনো সুদ বা রিবা প্রযোজ্য হয় না।ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি একটি সুবিধাজনক ও সম্মানজনক বিনিয়োগ প্রকল্প, যেটি প্রবাসীদের আর্থিক স্বাবলম্বন ও উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে। এই পদ্ধতি দ্বারা প্রবাসীরা নিজেদের ও পরিবারের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন যাপন করতে পারেন।

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়

এই আর্টিকেলের শুরুতেই আলোচনা করেছি। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিয়ে। এখন আলোচনা করব কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়।বাংলাদেশ একটি দরিদ্র এবং বেকারত্বের শিকার দেশ। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য যুবক যুবতীরা চাকরির অভাবে ভোগা করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বিদেশে চাকরি করার স্বপ্ন দেখে।

 কিন্তু বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা সংগ্রহ করা সহজ নয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক প্রবাসীদের সহায়তা করে থাকে প্রবাসী লোন দিয়ে। এই লোনের মাধ্যমে যে কেউ বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা নিতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা জানব বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় এবং কিভাবে এই লোন নিবেন।

বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়।বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক প্রবাসীদের লোন দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক: এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি ব্যাংক যা শুধুমাত্র প্রবাসীদের জন্য লোন দেয়। এই ব্যাংকের মাধ্যমে যে কেউ বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। এই ব্যাংক সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয়।

এই ব্যাংকের লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার ভিসা, পাসপোর্ট, টিকেট, মেডিকেল রিপোর্ট এবং জামিনদারের কাগজপত্র দিতে হবে। এই ব্যাংকের লোনের সময়সীমা ২ থেকে ৩ বছর। এই ব্যাংকের লোনের সুদের হার ৯ থেকে ১৪ শতাংশ। এই ব্যাংকের লোনের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৩ লাখ টাকা।সোনালী ব্যাংক: এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাংক। 

এই ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী শ্রমিক লোন প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কেউ বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন নিতে পারে। এই ব্যাংকের লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার ভিসা, পাসপোর্ট, টিকেট, মেডিকেল রিপোর্ট এবং জামিনদারের কাগজপত্র দিতে হবে। এই ব্যাংকের লোনের সময়সীমা ২ থেকে ৩ বছর।

এই ব্যাংকের লোনের সুদের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। এই ব্যাংকের লোনের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২ লাখ টাকা।ইসলামী ব্যাংক: এটি বাংলাদেশের একটি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক। এই ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী শ্রমিক লোন প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কেউ বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন নিতে পারে।

 এই ব্যাংকের লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার ভিসা, পাসপোর্ট, টিকেট, মেডিকেল রিপোর্ট এবং জামিনদারের কাগজপত্র দিতে হবে। এই ব্যাংকের লোনের সময়সীমা ২ থেকে ৩ বছর। এই ব্যাংকের লোনের সুদের হার ৮ থেকে ১২ শতাংশ। এই ব্যাংকের লোনের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২.৫ লাখ টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক: এটি বাংলাদেশের একটি বিশেষ ধরনের।

 ব্যাংক যা মূলত গরীব ও দুর্বল মানুষের জন্য মাইক্রোক্রেডিট দেয়। এই ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী শ্রমিক লোন প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কেউ বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন নিতে পারে। এই ব্যাংকের লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার ভিসা, পাসপোর্ট, টিকেট, মেডিকেল রিপোর্ট এবং জামিনদারের কাগজপত্র দিতে হবে।

এই ব্যাংকের লোনের সময়সীমা ২ থেকে ৩ বছর। এই ব্যাংকের লোনের সুদের হার ১২ থেকে ১৮ শতাংশ এই ব্যাংকের লোনের সর্বোচ্চ পরিমান ১.৫ লাখ টাকা।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়মএই আর্টিকেলের প্রথমেই আলোচনা করেছি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি শুরুতেই।

এখন আমাদের আলোচনার বিষয় হলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম নিয়ে।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হলো একটি সরকারি ব্যাংক যা বাংলাদেশের প্রবাসীদের আর্থিক সহায়তা করে। এই ব্যাংক থেকে প্রবাসীরা বিভিন্ন ধরনের লোন নিতে পারেন যেমন প্রবাসে যাওয়ার জন্য, ব্যবসা শুরু করার।

 জন্য, শিক্ষা অথবা চিকিৎসা খরচের জন্য ইত্যাদি।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই নিয়মগুলি হলো:লোন নিতে হলে আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। আবেদনকারীর পাসপোর্ট, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, টিকা কার্ড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে।

আবেদনকারীর কোনো ধরনের বকেয়া বা দেনা না থাকলেই ভালো। যদি থাকে তাহলে তা পরিশোধ করার পর লোন নিতে পারবেন। আবেদনকারীর কোনো অপরাধের মামলা বা কোর্টের কেস না থাকলেই ভালো। যদি থাকে তাহলে তা সমাধান করার পর লোন নিতে পারবেন। আবেদনকারীর লোনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হতে হবে। লোনের টাকা কোনো অসত কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

আবেদনকারীর লোনের পরিমাণ ও মেয়াদ ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার মধ্যে হতে হবে। লোনের পরিমাণ ও মেয়াদ লোনের ধরন, উদ্দেশ্য, আবেদনকারীর আয় ও ব্যয়, ব্যাংকের পলিসি ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।আবেদনকারীর লোনের কিস্তি নিয়মিত ভাবে পরিশোধ করতে হবে। কিস্তি বিলম্বিত হলে ব্যাংক থেকে জরিমানা বা সুদ দিতে হবে।

আবেদনকারীর লোনের জামিন হিসেবে কোনো সম্পত্তি বা বন্ধক রাখতে হবে। জামিন বা বন্ধকের কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। লোন পরিশোধ না করলে ব্যাংক জামিন বা বন্ধকের উপর দাবি করতে পারবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

এই আর্টিকুলের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসীদের লোন এর বিষয় নিয়ে। ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি উপরে। এখন আমাদের আলোচনার বিষয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা নিয়ে।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা: প্রবাসীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।

বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মীরা দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা বিদেশে কর্মসংস্থান করে দেশে টাকা পাঠানোর মাধ্যমে দেশের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের নিজের ও পরিবারের জীবনযাপন নিশ্চিত করেন। কিন্তু প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিদেশে যাওয়া ও ফিরে আসা একটি সহজ কাজ নয়।

 তাদের বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের খরচ করতে হয়, যেমন ভিসা, টিকেট, মানব পাচার, বীমা ইত্যাদি। এছাড়াও বিদেশে থাকাকালীন তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ও দেশে ফিরে আসার পর নিজের পরিবার ও সমাজের সাথে পুনরায় মিশে যাওয়ার জন্য তাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।এই সমস্ত কারণে প্রবাসী কর্মীদের জন্য একটি।

 বিশেষ ধরনের ব্যাংক প্রয়োজন হয়, যেখানে তারা তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা পেতে পারেন। এই প্রয়োজনের পূরণের জন্য বাংলাদেশ সরকার দ্বারা ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চালু করা হয়। এই ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা। এই ব্যাংক থেকে প্রবাসী কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের।

 ঋণ নিতে পারেন, যেমন অভিবাসন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ, বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ, বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ ইত্যাদি। এছাড়াও এই ব্যাংক প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, বীমা, সমস্যা সমাধান, পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধার বিশেষত্ব হলো এই ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কোনো জামিনদারের।

 প্রয়োজন হয় না, সুদের হার অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় কম এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বেশি। এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে আবেদনকারীর কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, যেমন আবেদনকারীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা নিয়োগ।কর্মসংস্থান করেছেন বা করতে চান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কোনো একটি ঋণ সুবিধা তাদের জন্য উপযুক্ত। 

এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে আবেদনকারীর প্রবাসী কর্মী হিসাবে নিবন্ধিত হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইলে আবেদনকারীর একটি ঋণ আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং তার সাথে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে, যেমন।

 পাসপোর্ট, ভিসা, টিকেট, বিদেশে কর্মসংস্থানের চুক্তি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড ইত্যাদি। এই কাগজপত্রগুলোর সত্যায়িত কপি বা নোটারাইজড কপি দিতে হবে।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা প্রবাসীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই সুবিধা দিয়ে তারা তাদের বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি, বিদেশে থাকার।

 সময় ও দেশে ফিরে আসার পর তাদের জীবনযাপন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সহজ ও সুবিধাজনক করতে পারেন। এই ব্যাংক তাদের সম্মান ও সমর্থন করে এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করে। তাই প্রবাসীদের এই ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ রাখা উচিত।

শেষ কথা: প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রবাসীদের লোনের বিষয় নিয়ে। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি। কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়।

 প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেলটি পরে আপনি কিছু জানতেও শিখতে পেরেছেন। আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার আত্মীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন