নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার জেনে নিন

এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার উপায়। নারিকেল গাছের রোগ কি কি, কেন হয়, কিভাবে চিহ্নিত করবেন এবং কিভাবে নিরাময় করবেন সেগুলো বিস্তারিত জানুন। এই আর্টিকেলে নারিকেল গাছ পরিচর্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আরো আলোচনা করব।
নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার জেনে নিন
নারিকেল গাছ ফল না ধরার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে কোন অংশ মিস করা যাবে না।

ভূমিকা:

নারিকেল হল বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল, যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বিশাল পরিসরে ছড়িয়ে আছে। এটি এমন একটি বৃক্ষ, যার প্রতিটি অংশ মানুষের জীবনে কোনো না কোনোভাবে কাজে আসে। নারিকেলের ফল, পানি, শাঁস, তেল, ছোবড়া এবং পাতা সবই বিভিন্ন খাদ্য, শিল্প, ঔষধ ও সৌন্দর্য প্রসাধনের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 নারিকেল একই সাথে একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফল, যা বিশ্বের অনেক দেশে বড় পরিমাণে চাষ করা হয়।তবে, নারিকেল গাছের উৎপাদন ও গুণমান বাড়ানোর জন্য রোগ ও পোকা বালাই নিরাময় করা খুবই জরুরি। নারিকেল গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকা আক্রমণ করে, যা গাছের বৃদ্ধি, ফলন ও মানসম্পন্নতার উপর প্রভাব ফেলে। নারিকেল গাছের রোগের মধ্যে বুদবুদি রোগ, পাতার দাগ রোগ, কালোচে রোগ, কালোচে রোগ, কালোচে রোগ।

নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার জেনে নিন

এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে চলুন তাহলে শুরু করা যাক।নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার নারিকেল গাছ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। নারিকেল গাছের ফল, পাতা, কোষ, তাড়, তেল ইত্যাদি বিভিন্ন উপযোগে আসে। নারিকেল গাছের চাষ করতে হলে যথাযথ পরিচর্যা ও রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হয়।

 নারিকেল গাছের কিছু সাধারণ রোগ ও তার প্রতিকারের উপায় নিম্নে দেওয়া হলো:কালোচেকা রোগ: এই রোগে নারিকেল গাছের পাতার শিরা থেকে কালো চেকা চেকা দাগ হয়। এই দাগ ধীরে ধীরে বড় হয়ে পাতাটি শুকিয়ে যায়। এই রোগের কারণ হলো একটি ছত্রাক নামে ফিজারিয়াম পালমি। এই রোগের প্রতিকারের জন্য নিম্নের কাজগুলো করা উচিত: রোগজীবানুগ্রস্ত পাতা ও ফল গাছ থেকে সাবধানে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জ্বালাতে হবে।

রোগমুক্ত সুস্থ গাছ থেকে কালি করে নতুন গাছ উৎপাদন করতে হবে।গাছের পাতা ও ফলের উপর বর্ষাকালে এক মাস অন্তর অন্তর বোর্ডো মিশ্রণ (পানি ১০ লিটারে চুন ১০০ গ্রাম ও নীল ১০০ গ্রাম) বা কপার অক্সিক্লোরাইড (পানি ১০ লিটারে ২৫ গ্রাম) ছিটিয়ে দিতে হবে।বুড রোট রোগ: এই রোগে নারিকেল গাছের বুড অর্থাৎ কোমর থেকে ফুটে আসা।

 নতুন পাতা ও ফুলের গুচ্ছা শুকিয়ে যায় এবং কালো হয়ে যায়। এই রোগের কারণ হলো একটি ব্যাকটেরিয়া নামে ফিজারিয়াম মনোলিফেরাম। এই রোগের প্রতিকারের জন্য নিম্নের কাজগুলো করা উচিত:রোগজীবানুগ্রস্ত বুড গাছ থেকে সাবধানে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জ্বালাতে হবে। গাছের কোমরের চারপাশে একটি খালি খনন করে তাতে বোর্ডো মিশ্রণ।

 বা কপার অক্সিক্লোরাইড দিয়ে ভরতে হবে।গাছের বুডের উপর বর্ষাকালে এক মাস অন্তর অন্তর বোর্ডো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইড ছিটিয়ে দিতে হবে।লিফ ব্লেচিং রোগ: এই রোগে নারিকেল গাছের পাতার শিরা থেকে শলিফ ব্লেচিং রোগ: এই রোগে নারিকেল গাছের পাতার শিরা থেকে শুরু করে পাতার কিনারা পর্যন্ত হালকা হলুদ রঙের দাগ হয়।

এই দাগ ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যায় এবং পাতাটি শুকিয়ে যায়। এই রোগের কারণ হলো একটি ভাইরাস নামে কোকোনাট লিফ ব্লেচিং ভাইরাস। এই রোগের প্রতিকারের জন্য নিম্নের কাজগুলো করা উচিত: রোগজীবানুগ্রস্ত পাতা গাছ থেকে সাবধানে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জ্বালাতে হবে। রোগমুক্ত সুস্থ গাছ থেকে কালি করে নতুন গাছ উৎপাদন করতে হবে।

গাছের পাতা ও ফলের উপর বর্ষাকালে এক মাস অন্তর অন্তর বোর্ডো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইড ছিটিয়ে দিতে হবে।রুট রোগ: এই রোগে নারিকেল গাছের রুট অর্থাৎ শিকড় শুকিয়ে যায় এবং গাছের উপরের অংশ ক্ষয় করে। এই রোগের কারণ হলো একটি ছত্রাক নামে রাইজোক্টোনিয়া সোলানি। এই রোগের প্রতিকারের জন্য নিম্নের কাজগুলো করা উচিত।

রোগজীবানুগ্রস্ত গাছ গাছ থেকে সাবধানে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জ্বালাতে হবে। গাছের রুটের চারপাশে একটি খালি খনন করে তাতে বোর্ডো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইড দিয়ে ভরতে হবে।গাছের রুটের উপর বর্ষাকালে এক মাস অন্তর অন্তর বোর্ডো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইড ছিটিয়ে দিতে হবে।উপরের রোগগুলো ছাড়াও নারিকেল গাছের।

আরো কিছু রোগ হতে পারে, যেমন কোকোনাট মাইট, কোকোনাট স্কেল, কোকোনাট লিফ মাইনার, কোকোনাট লিফ স্কেল ইত্যাদি। এই রোগগুলোর প্রতিকারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।নারিকেল গাছের রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নের বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:গাছের চাষের সময় রোগমুক্ত সুস্থ কালি ব্যবহার করতে হবে।

গাছের চারপাশে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।গাছের পাতা, ফল, কোষ, তাড় ইত্যাদি নিয়মিত ভাবে সাফ রাখতে হবে।গাছের পরিচর্যা ও সার দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।

নারিকেল গাছের ফল না ধরার কারণ জেনে নিন

এই আর্টিকেলের শুরুতেই আলোচনা করেছি নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার নিয়ে। এখানে আলোচনা করব নারিকেল গাছের ফল না ধরার কারণ।নারিকেল গাছে ফল না ধরার কারণ এবং সমাধাননা রিকেল গাছ একটি উপকারী ও সুস্বাদু ফল দেয় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুণাগুণ রয়েছে। নারিকেল গাছের পানি, মাংস, তেল, ছাল, কোপাল সবই ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু কখনো কখনো আমরা দেখি যে নারিকেল গাছে ফল না ধরে বা ফল ধরলেও সেগুলো ছোট ও অসুস্থ হয়ে যায়। এর কারণ কি? এবং এই সমস্যার সমাধান কি? এই আর্টিকেলে আমরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।নারিকেল গাছে ফল না ধরার কারণ হতে পারে বিভিন্ন রকমের। যেমন:নারিকেল গাছের জমি যথেষ্ট উর্বর না হওয়া।

নারিকেল গাছের জন্য একটি ভালো জমি হল যেখানে পানি সহজে প্রবাহিত হয় এবং জমির পিএইচ মান 5.5 থেকে 7.0 এর মধ্যে থাকে। যদি জমি অতিরিক্ত ক্ষারীয় বা অম্লীয় হয়, তবে নারিকেল গাছের উন্নতি বাধা পায়। নারিকেল গাছের পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পাওয়া। নারিকেল গাছ একটি উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর গাছ যা প্রতিদিন কমপক্ষে 6 থেকে 8 ঘণ্টা সূর্যালোক প্রয়োজন।

যদি নারিকেল গাছ ছায়ায় থাকে বা অন্য গাছের মধ্যে ঘেরা হয়ে থাকে, তবে এর ফলধারণ কমে যায়। নারিকেল গাছের যথেষ্ট পানি না দেওয়া। নারিকেল গাছ একটি পানি ভিত্তিক গাছ যা প্রতিদিন কমপক্ষে 50 থেকে 100 লিটার পানি প্রয়োজন।

 যদি নারিকেল গাছের পানির সরবরাহ কম হয়, তবে এর ফল ছোট ও শুকনো হয়ে যায়। নারিকেল গাছের পর্যাপ্ত সার না দেওয়া। নারিকেল গাছের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, বরণ, কপার এবং মোলিবডেনাম এই উপাদানগুলো প্রয়োজন।

গাছের গোড়ায় কি দিলে গাছ মারা যায় জেনে নিনগাছ প্রকৃতির একটি অমূল্য উপহার। গাছ আমাদের জীবনের অনেক কিছু দেয়। গাছ আমাদের অক্সিজেন, ফল, ফুল, ছায়া, কাঠ, ঔষধ ইত্যাদি দেয়। গাছ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাই গাছ রক্ষা করা আমাদের জন্য খুবই জরুরি।কিন্তু অনেক সময় আমরা জানা অজানা কারণে গাছের ক্ষতি করে ফেলি।

গাছের গোড়ায় কিছু জিনিস দিলে গাছ মারা যেতে পারে। এই জিনিসগুলো হলো:অতিরিক্ত পানি: গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি দিলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে। এটি গাছের জীবনধারা বন্ধ করে দেয়। তাই গাছে পানি দেওয়ার সময় মাটির আর্দ্রতা বোঝে পানি দিতে হবে।লবণ: গাছের গোড়ায় লবণ দিলে গাছ মারা যেতে পারে। লবণ গাছের শিকড়ের পানি শোষণ করে দেয়।

এটি গাছের শিকড় শুকিয়ে ফেলে। তাই লবণযুক্ত পানি বা লবণ গাছের গোড়ায় দেওয়া উচিত নয়। রাসায়নিক সার: গাছের গোড়ায় রাসায়নিক সার দিলে গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাসায়নিক সার গাছের শিকড়ের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এটি গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে। তাই রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার ব্যবহার করা ভালো।

এসিড: গাছের গোড়ায় এসিড দিলে গাছ মারা যেতে পারে। এসিড গাছের শিকড়ের পানি ও পুষ্টি বহন করা ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এটি গাছের মাটির পিএইচ স্তর বিকৃত করে দেয়। তাই এসিড গাছের গোড়ায় দেওয়া উচিত নয়। উপরের জিনিসগুলো গাছের গোড়ায় দিলে গাছ মারা যেতে পারে।

তাই এসব জিনিস থেকে দূরে থাকা উচিত। গাছ রক্ষা করা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। গাছ রক্ষা করলে আমরা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারি। গাছ রক্ষা করলে আমরা আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর ও সুস্থ করতে পারি।

নারিকেল গাছের সার প্রয়োগ পদ্ধতি জেনে নিন

নারিকেল গাছ একটি মূল্যবান ও উপকারী ফসল, যা বাংলাদেশের অনেক জায়গায় চাষ করা হয়। নারিকেল গাছের প্রতি অংশ থেকে মানুষের কোন না কোন উপকার হয়। নারিকেল গাছের ফল, পাতা, কোষ, কাঠ, শিকল, তেল ইত্যাদি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। নারিকেল গাছ চাষ করার জন্য উপযুক্ত মাটি, জলাবহ, আলো, বায়ু ও সারের প্রয়োজন হয়।

নারিকেল গাছের উন্নত ফলন পেতে সার প্রয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।নারিকেল গাছে সার প্রয়োগের সময় ও পরিমাণ নারিকেল গাছে সার প্রয়োগের সময় ও পরিমাণ গাছের বয়স, মাটির উর্বরতা, জলাবহ ও ফলনের অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত নারিকেল গাছে নিম্নলিখিত সার প্রয়োগ করা হয়ঃ জৈব সার: জৈব সার হিসেবে।

গোবর, কমপোস্ট, ভার্মি কমপোস্ট, পৌষ্টিক মুল, নিউক্লিয়ার সার ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। জৈব সার গাছের চারপাশে বিছানো হয় এবং মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়। জৈব সার প্রতি বছর দুই বার প্রয়োগ করা উচিত। প্রথম বার বসন্তে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) এবং দ্বিতীয় বার শরতে (অক্টোবর-নভেম্বর)। জৈব সারের পরিমাণ গাছের বয়স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।

 সাধারণত প্রতি গাছে ১০-২০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।রাসায়নিক সার: রাসায়নিক সার হিসেবে ইউরিয়া, টি এস পি, এম পি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বোরন, সালফেট, বোরন, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। রাসায়নিক সার গাছের চারপাশে গর্ত করে দেওয়া হয় এবং মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

 রাসায়নিক সার প্রতি বছর তিন বার প্রয়োগ করা উচিত। প্রথম বার বসন্তে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ), দ্বিতীয় বার গ্রীষ্মে (মে-জুন) এবং তৃতীয় বার বর্ষায় (জুলাই-আগস্ট)। রাসায়নিক সারের পরিমাণ গাছের বয়স ও ফলনের অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত প্রতি গাছে ১-২ কেজি ইউরিয়া, ২-৩ কেজি টি এস পি, ২-৩ কেজি এম পি, ১-২ কেজি জিপসাম, ৫০-১০০ গ্রাম।

 জিংক সালফেট, ৫০-১০০ গ্রাম বোরন, ৫০-১০০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম সালফেট প্রয়োগ করা যেতে পারে।নারিকেল গাছে সার প্রয়োগের উপকারিতা নারিকেল গাছে সার প্রয়োগের মাধ্যমে গাছের বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ও ফলন বাড়ে। সার প্রয়োগের ফলে নারিকেল গাছের পাতা সবুজ, লম্বা ও প্রসন্ন হয়। গাছের ফুল ও ফল বেশি ও বড় হয়।

 ফলের গুঁড়া ও কোষ মোটা হয়। ফলের রস ও তেলের পরিমাণ বাড়ে। গাছের আয়ু বাড়ে ও গাছ দীর্ঘকাল ফল দেয়।নারিকেল গাছে সার প্রয়োগের সতর্কতানা রিকেল গাছে সার প্রয়োগের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমনঃসার প্রয়োগের পর গাছের চারপাশে ভালো করে জল দিতে হবে। সার প্রয়োগের পর গাছের পাতা, ফুল ও ফলের উপর।

 সার না পড়ে যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সার প্রয়োগের পরিমাণ ও সময় গাছের বয়স, মাটির উর্বরতা, জলাবহ ও ফলনের অবস্থা অনুযায়ী রাখতে হবে। সার প্রয়োগের সময় বৃষ্টি বা বাতাসের অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।সার প্রয়োগের সময় গাছের কোন রোগ বা আক্রমণ থাকলে তা দূর করার জন্য উপযুক্ত ঔষধ বা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

নারিকেল গাছের ফলন বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন

নারিকেল গাছ একটি বহুমূল্য উদ্ভিদ যা বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে চাষ করা হয়। নারিকেল গাছের প্রতিটি অংশ বিভিন্ন উপযোগে ব্যবহৃত হয়। নারিকেল গাছের ফলন বৃদ্ধি করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় আছে যা আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। নারিকেল গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল গাছের সঠিক রকমের চয়ন।

নারিকেল গাছের বিভিন্ন জাত আছে যেগুলো ফলনের দিক থেকে পার্থক্য রাখে। যেমন, দীর্ঘজীবী জাতের গাছ ফলন শুরু করে ৭-৮ বছর পরে কিন্তু ফলনের মাত্রা বেশি থাকে। অপরদিকে, ক্ষুদ্রজীবী জাতের গাছ ফলন শুরু করে ৩-৪ বছর পরে কিন্তু ফলনের মাত্রা কম থাকে। তাই, ফলন বৃদ্ধির জন্য যে জাতের গাছ চাষ করা হবে তা নির্বাচনে সাবধান হতে হবে।

নারিকেল গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য দ্বিতীয় উপায় হল গাছের সঠিক রকমের পরিচর্যা। নারিকেল গাছের পরিচর্যা বলতে বুঝায় গাছের সার দেওয়া, পানি দেওয়া, রোগ প্রতিরোধ করা, কীটনাশক ব্যবহার করা, গাছের শাখা কাটা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। গাছের সার দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা গাছের ফলনের মাত্রা ও মান উভয়ই বাড়ায়।

নারিকেল গাছের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, বরক, আয়রন ইত্যাদি উপকারী সার। গাছের পানি দেওয়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা গাছের বৃদ্ধি ও ফলনের জন্য প্রয়োজনীয়। নারিকেল গাছের জন্য প্রতি সপ্তাহে একবার পানি দেওয়া উচিত।

 গাছের রোগ প্রতিরোধ করা এবং কীটনাশক ব্যবহার করা গাছের ফলন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত জরুরি। নারিকেল গাছের কিছু সাধারণ রোগ হল কালো পোকা, কালো মাছি, কালো মুখ, কালো পাতা, কালো গোলা, কালো বুক, কালো গাছ ইত্যাদি। এই রোগগুলো থেকে গাছকে রক্ষা করে।

শেষ কথা: প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি নারিকেল গাছের রোগ ও প্রতিকার নিয়ে ইতিমধ্যেই আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এ সম্পর্কে। নারিকেল গাছের পরিচর্যা নিয়ে এই আর্টিকেলে আরো জানতে পেরেছেন। আশা করি আজকের এই আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের কাজে এসেছে এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩