রোগ মুক্তির দোয়া কখন কোথায় ও কিভাবে পড়বেন
যে দোয়া করলে আল্লাহ সাথে সাথে রোগ থেকে মুক্তি দেয় আজকে তেমন রোগ মুক্তির
দোয়া নিয়ে আলোচনা করব। নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর রোগ
মুক্তির দোয়া শিখুন জীবনকে সুস্থ করুন। আল্লাহর কাছে আরোগ্য প্রার্থনা করুন
আপনার রোগ থেকে মুক্তি পান।
পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন আশা করি অনেক কিছু জানতেও শিখতে পারবেন কোন অংশ মিস
করবেন না।
ভূমিকা:
আমরা সবাই জানি, রোগ একটি প্রকৃতিক ঘটনা, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে রোগ
দিয়ে পরীক্ষা করেন এবং আমাদের সবার জন্য একটি শেফা রাখেন। আমরা যদি আল্লাহর
কাছে দোয়া করি এবং তার নির্দেশ মেনে চলি, তাহলে আমরা রোগ থেকে মুক্তি পেতে
পারি। আল কুরআন ও সহিহ হাদীসে আমাদের জন্য অনেক দোয়া ও আমল বর্ণিত আছে,
যা আমাদের রোগ মুক্তির জন্য কার্যকর। এই দোয়াগুলি আমরা নিয়মিত পড়তে
পারি এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে পারি। এই আর্টিকেলে আমরা জানব রোগ মুক্তির
দোয়া কি রোগের জন্য উপযুক্ত কখন। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো। রোগ মুক্তির
দোয়া। গোপন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া।
দশটি রোগ থেকে মুক্তির দোয়া। পেটের রোগ থেকে মুক্তির দোয়া। বাচ্চাদের
পেট ব্যথা কমানোর উপায়। বুঝতেই পারছেন আর্টিকেলটি কেমন হতে যাচ্ছে তাই
বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
রোগ মুক্তির দোয়া কখন কোথায় ও কিভাবে পড়বেন
মানুষের জীবনে রোগ ব্যাধি অনিবার্য একটি সত্য। রোগ হলে আমরা চিকিৎসা নেই, ঔষধ
খাই, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলি। এগুলো সব আল্লাহর দেয়া উপায়। তবে আল্লাহ
ছাড়া কেউ আমাদের সুস্থ করতে পারে না। তাই আমাদের চিকিৎসার পাশাপাশি আল্লাহর
কাছে দোয়া করতে হবে। আল্লাহ আমাদের কে শীঘ্রই আরোগ্য করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে কোরআন ও হাদীসে রোগ মুক্তির দোয়া দিয়েছেন। এই দোয়াগুলো আমরা
রোগ হলে নিয়মিত পড়তে পারি। এছাড়াও আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের নিজের কথায়
দোয়া করতে পারি। আল্লাহ আমাদের দোয়া শুনেন ও কবুল করেন।
আরোপরুন:বিপদ থেকে মুক্তির নামাজ
এই আর্টিকেলে আমরা কিছু রোগ মুক্তির দোয়া নিয়ে জানবো। এই দোয়াগুলো আল্লাহর
রসূল (সাঃ) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। এই দোয়াগুলো আমরা আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও
অর্থ সহ জানবো।
দোয়া নং
আরবি: أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ
إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ: আযহিবিল বাসা রাব্বান্নাসি ওয়াশফি আন্তাশ শাফী লা শিফাআ ইল্লা
শিফাউকা শিফাআল্লা ইউগাদিরু সাকম
অর্থ: হে মানুষের রব! কষ্ট দূর করো এবং আরোগ্য দান করো। তুমি আরোগ্যকারী। তোমার
ছাড়া আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য দাও যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।
আরবি: اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَأْسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي
لَا شَافِيَ إِلَّا أَنْتَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বান্নাসি মুযহিবাল বাসি ইশফি আন্তাশ শাফী লা শাফিয়া
ইল্লা আন্তা শিফাআল্লা ইউগাদিরু সাকমা
অর্থ: হে মানুষের রব! কষ্ট দূর করো এবং আরোগ্য দান করো। তুমি আরোগ্যকারী। তোমার
ছাড়া আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দাও যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।
গোপন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
গোপন রোগ হলো এমন রোগ যা সাধারণত লোকেরা অন্যকে জানাতে চায় না বা লজ্জা বোধ
করে। এই রোগের মধ্যে প্রধানত যৌন রোগ, গুপ্তাঙ্গের রোগ, মানসিক রোগ ইত্যাদি
রয়েছে। এই রোগগুলো মানুষের জীবনে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। এই রোগগুলো থেকে
মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা
খুবই জরুরি। আল্লাহ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান ও সর্বক্ষমা। তিনি যে কোনো
রোগ থেকে আমাদের শিফা দিতে পারেন। তাই আমরা আল্লাহর কাছে সদা দোয়া করবো এবং
তাঁর আদেশ পালন করবো।
আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।
অর্থ: এবং, যখন আমি রোগে আক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
[সূরা আশ-শুয়ারা, আয়াত ৮০]
এছাড়াও আল-কুরআনে অনেক আয়াত রয়েছে যেগুলো রোগ মুক্তির দোয়া হিসেবে পড়া
যায়। যেমন,
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল ক্বুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতিুল লিলমু’মিনি-ন।
অর্থ: আমি (আল্লাহ তায়ালা বলেছেন) কোরআনে এমন বিষয়সমূহ নাযিল করি তা মুমিনের
জন্য রহমত ও রোগের সুচিকিৎসা।
[সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৮২]
وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ
ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনিন।
অর্থ: আল্লাহ মুমিনদের অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন।
[সূরা তাওবার, আয়াত ১৪
১০ টি রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের জীবনের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।
আমাদের শরীর ও মনের সুস্থতা আল্লাহর করুণার ফল। কিন্তু কখনো কখনো আমরা বিভিন্ন
রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি। রোগ হলে আমরা চিকিৎসা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
আল্লাহ আমাদের রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন এবং আমাদের আরোগ্য করতে পারেন।
আল্লাহ আমাদেরকে কোরআন ও হাদীসে অনেক দোয়া দিয়েছেন যা আমরা রোগ থেকে মুক্তির
জন্য পড়তে পারি। এই দোয়াগুলো আল্লাহর কথা ও রাসূল (সাঃ) এর সুন্নত। এই
দোয়াগুলো পড়লে আল্লাহ আমাদের শিফা দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের দশটি রোগ থেকে মুক্তির দোয়া আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও
অর্থ সহ দেখাবো। এছাড়াও আমি এই দোয়াগুলোর তাফসীর ও ফযীলত বলবো। আশা করি
আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন।
সূরা ফাতিহা কোরআনের প্রথম সূরা এবং কোরআনের সারাংশ। এই সূরাটি আল্লাহর হামদ,
সিফাত, রহমত, হেদায়েত ও দোয়া নিয়ে পরিপূর্ণ। এই সূরাটি পড়লে আল্লাহ আমাদের
রোগ থেকে মুক্তি দান করেন।
আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ﴿١﴾ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ
الْعَالَمِينَ ﴿٢﴾ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ﴿٣﴾ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ﴿٤﴾
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ﴿٥﴾ اهْدِنَا الصِّرَاطَ
الْمُسْتَقِيمَ ﴿٦﴾ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ
الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ﴿٧﴾
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। আর
রাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াউমিদ দীন। ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন।
ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম গায়রিল মাগদুবি
আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বাল্লীন।
অর্থ: শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয় প্রশংসা
আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও
দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র
তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদের সরল পথ দেখাও। সে সমস্ত লোকের পথ,
যাদেরকে তুমি
নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং
যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। এই সূরাটি পড়লে আপনার যে কোন কঠিন রোগ থেকে মুক্তি
পাবেন ইনশাআল্লাহ। মনে প্রানে বিশ্বাস নিয়ে এই সূরাটি পাঠ করবেন আশা করি আপনার
যেকোনো দশটি লোক ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
পেটের রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
পেটের রোগ একটি সাধারণ কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। পেটের রোগের কারণ হতে পারে
খাদ্যের অসম্পূর্ণ পাচন, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ, অতিরিক্ত তেল বা
মসলা ব্যবহার, স্ট্রেস বা চাপ, অল্প পানি পান করা ইত্যাদি। পেটের রোগের লক্ষণ
হলো পেটে ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া, বমি, জ্বর, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।
পেটের রোগ থেকে মুক্তির জন্য চিকিৎসা নেওয়া উচিত। চিকিৎসার পাশাপাশি আল্লাহর
কাছে দোয়া করা ও উচিত। কারণ আল্লাহ হলেন সকল রোগের শাফি। কোরআন ও হাদীসে রোগ
মুক্তির দোয়া অনেক রয়েছে। আমরা এখানে কিছু দোয়া উল্লেখ করছি।
পেটের রোগ থেকে মুক্তির জন্য একটি দোয়া হলো সূরা আল-ফাতিহা পড়া। এটি কোরআনের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূরা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আল্লাহর প্রশংসা, হামদ,
দুয়া ও হেদায়েতের সূচনা রয়েছে। এটি পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর ঝাড় ফুঁক
করলে আল্লাহর রহমতে আরোগ্য লাভ করা যায়।
আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ﴿١﴾ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ
الْعَالَمِينَ ﴿٢﴾ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِي ﴿٣﴾ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ﴿٤﴾
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ﴿٥﴾ اهْدِنَا الصِّرَاطَ
الْمُسْتَقِيمَ ﴿٦﴾ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ
الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ﴿٧﴾
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। আর
রাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ দীন। ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন।
ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল লাযিনা আনআমতা আলাইহিম গায়রিল মাগদুবি
আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বাল্লীন।
অর্থ: দয়ালু ও করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর
জন্য, যিনি সমস্ত জগতের পালনকর্তা। যিনি দয়ালু ও করুণাময়। যিনি বিচারের দিনের
মালিক। তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য চাই। আমাদেরকে সরল পথ দেখিয়ে দাও।
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি
তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
বাচ্চাদের পেটে ব্যথা কমানোর উপায় ও দোয়া
বাচ্চাদের পেট ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক কারণে হতে পারে। পেট ব্যথা
হলে বাচ্চারা অস্বস্তি বোধ করে, কাঁদে, ঘুমাতে পারে না এবং খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা
হয়। তাই পেট ব্যথা হলে তা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপায় ও দোয়া জানা
উচিত।
পেট ব্যথা কমানোর কিছু উপায় হলো
- বাচ্চাকে নরম ও পাচনযোগ্য খাবার দিন, যেমন সাগুদানা, সুজি, চালের গুঁড়া, কলা, আপেল, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, দই ইত্যাদি।
- বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পানি পান করান, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।
- বাচ্চাকে নিয়মিত ব্যায়াম করান, যেমন সাইকেলের মতো পা দুটোকে চালানো, পেটের উপর হাত দিয়ে সাইকেল চালানো, পেটের উপর হাত দিয়ে মাথা উঠানো ইত্যাদি।
- বাচ্চাকে পেটের উপর গরম কাপড় বা বোতল রাখুন, যাতে পেটের মাংসপেশি শিথিল হয়।
- বাচ্চাকে পেটের উপর হালকা হালকা মালিশ করুন, যাতে গ্যাস বের হয়ে যায়।
- বাচ্চাকে পেটের উপর পুড়ে নেওয়া পুদিনা, এলাচ, সৌফ, জিরা বা অদরকের রস দিন, যাতে পেটের ব্যথা কমে।
- বাচ্চাকে শান্ত ও সুস্থ পরিবেশে রাখুন, যাতে তারা সংবেদনশীল না হয়।
- পেট ব্যথা কমানোর কিছু দোয়া হলো
পেটের ব্যথার স্থানে ডান হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ বলুন, এরপর সাতবার এই
দোয়া পড়ুন: "আউজু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া
উহাজিরু।" অর্থ: "আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ
করছি, তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।"
বাচ্চার পেটের উপর হাত রেখে এই দোয়া পড়ুন: রাব্বুনাল্লাহুল লাজি ফিস সামা-ই
তাকাদ্দাসা ইসমুক, আমরুকা ফিস সামা-ই ওয়াল আরদ্ব, কামা রাহমাতুকা ফিস সামা-ই,
ফাজআল রাহমাতুকা ফিল আরদ্ব, ইগফির লানা হুউবানা ওয়া খাতা-য়া-না আনতা রাব্বুত
তাইয়িবিন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা, ওয়া শিফাউম মিন শিফা-ইকা আলা হাজাল
ওয়াজ-ই।
উপসংহার: আজকের আর্টিকেলটি পরে
আপনারা রোগ মুক্তির দোয়া। গোপন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া বাচ্চাদের পেটে ব্যথা
কমানোর উপায়। ১০ টি রোগ থেকে মুক্তির দোয়া এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দোয়া
শিখতে পেরেছেন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে আপনার অনেক উপকার হয়েছে।
শেষ কথা: আজকের এই আর্টিকেলটি
পরে আপনি অনেক কিছু জানতেও শিখতে পেরেছেন। আজকে আর্টিকেলে যদি কোন ব্যাকরণ
বাচনভঙ্গি ও বানানের ভুল হয়ে থাকে। দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধু আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
প্রশ্ন : রোগ থেকে মুক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ কোন দোয়া পড়তেন?
উত্তর: রোগ থেকে মুক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ নিম্নোক্ত দোয়া পড়তেন
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ
شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর।
(যেহেতু) তুমিই রোগ নিরাময় কারী। তুমি ছাড়া আর কোনো নিরাময় দানকারী নেই, তুমি
এমনভাবে রোগ নিরাময় দান কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।
প্রশ্ন : রোগ থেকে মুক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ উম্মতকে কোন দোয়া শিক্ষা
দিয়েছেন?
উত্তর: রোগ থেকে মুক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ উম্মতকে নিম্নোক্ত দোয়া শিক্ষা
দিয়েছেন:
اللَّهُمَّ عَافِنِى فِى بَدَنِى اللَّهُمَّ عَافِنِى فِى سَمْعِى اللَّهُمَّ
عَافِنِى فِى بَصَرِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ
مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ
الْقَبْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার
কানের সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার চোখের সুস্থতা দান করুন। আপনি
ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। হে আল্লাহ! কুফরী এবং দারিদ্র্য থেকে আমি আপনার
নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! কবরের আযাব থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয়
প্রার্থনা করছি। আপনি ব্যতীত আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই’।
প্রশ্ন : রোগ থেকে মুক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ কোন রোগীর কাছে কোন দোয়া পড়ে
দিয়েছেন?
উত্তর: রোগ থেকে মুক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন রোগীর কাছে নিম্নোক্ত দোয়া
পড়ে দিয়েছেন:
أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ
অর্থ: আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করছি, যিনি মহান ও যিনি মহান আরশের
মালিক, তিনি আপনাকে আরোগ্য করুন।