মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা জেনে নিন
মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা জানুন। ইসলামি শিক্ষার ভূমিকা, বিজ্ঞান ও সামাজিক উন্নয়নে মাদরাসা শিক্ষার অবদান, মাদরাসা শিক্ষার বর্তমান অবস্থা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন। আজকের এই আর্টিকেলে আরো আলোচনা করব ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে।
আরো জানতে পারবেন সন্তানের হক আদায় না করার শাস্তি তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন কোন অংশ মিস করবেন না।
ভূমিকা:
শিক্ষা হচ্ছে মানুষের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী, সুশিক্ষিত, সুসংস্কৃত ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী করে। শিক্ষা মানুষকে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ও প্রতিষ্ঠার উপায় দেয়। ইসলাম শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং প্রত্যেক মুসলমানকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হওয়ার উদ্দেশ্যে উৎসাহিত করেছে।
ইসলামী শিক্ষা হচ্ছে ঐক্যমূলক শিক্ষা, যা মানুষের দেহ, মন ও রূহের সমন্বয় সাধনে সহায়তা করে। ইসলামী শিক্ষা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সম্পূর্ণ করে তোলে।মাদরাসা শিক্ষা হচ্ছে ইসলামী শিক্ষার একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। মাদরাসা শিক্ষা মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয় এবং তাদের ইসলামী আদর্শের অনুগামী করে তোলে। মাদরাসা।
শিক্ষা মুসলমানদের কুরআন, হাদীস, ফিকহ, আকীদা, আখলাক, তাজবীদ, আরবী ভাষা ও সাহিত্য এবং অন্যান্য ইসলামী বিষয়ে জ্ঞান দেয়। মাদরাসা শিক্ষা মুসলমানদের দ্বীনি শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের আধুনিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চা করে। মাদরাসা শিক্ষা মুসলমানদের সমাজের সেবা, দাওয়াত, ইসলাহ, মানবিক কার্যক্রম ও রাষ্ট্রগঠনের জন্য প্রস্তুত করে।
মাদরাসা শিক্ষা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মাদরাসা শিক্ষা প্রদান করে। মাদরাসা শিক্ষা বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। আজকের এই আর্টিকেলে আরো আমরা আলোচনা করব।
মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত। ইসলামের শিক্ষা গুরুত্ব ও তাৎপর্য। ইসলাম শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা। সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব। সন্তানের হক আদায় না করার শাস্তি। সন্তানের প্রতি পিতা মাতার হক কয়টি। বুঝতেই পারতেছেন আজকের আর্টিকেলটি কেমন হতে যাচ্ছে তাই কোন অংশ মিস করবেন না সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা জেনে নিন
এখন আমরা আলোচনা করব, মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব চলুন তাহলে শুরু করা যাক।মাদ্রাসা শিক্ষা হলো ইসলামের আলোকে যে শিক্ষা প্রদান করা হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা মুসলমানদের জীবনের সকল দিকে সহায়ক হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা দিয়ে মানুষ ইসলামের।
মৌলিক শিক্ষা, কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান, আরবি ভাষার দক্ষতা, ইসলামী আইন ও ফিকহ, ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে শিখতে পারে। এছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষা দিয়ে মানুষ সাধারণ শিক্ষার বিষয়গুলো যেমন বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, কম্পিউটার ইত্যাদি শিখতে পারে।
এভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা মানুষকে ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয় করে দেয়।মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। মাদ্রাসা শিক্ষা মানুষকে ইসলামের সঠিক আলোচনা, বুঝবুঝি ও আমলের দিকে নির্দেশ করে। মাদ্রাসা শিক্ষা মানুষকে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, হালাল-হারাম, ফরয-ওয়াজিব, সুন্নাত-মাকরূহ ও ভালো-মন্দ পার্থক্য করতে শিখায়।
মাদ্রাসা শিক্ষা মানুষকে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর সীরাত, আখলাক ও সুন্নাতের মাধ্যমে জীবনযাপন করতে শিখায়। মাদ্রাসা শিক্ষা মানুষকে ইসলামের সম্পূর্ণ ইতিহাস, সংস্কৃতি, বীরত্ব, শহীদ,আলীম, সাহাবী, তাবেইন, মুহাদ্দিস, ফাকিহ, মুফস্সির, মুজাহিদ, সুফি ও অন্যান্য মহান ব্যক্তিত্বের কর্মকাণ্ড ও আদর্শ সম্পর্কে জ্ঞান দেয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা মানুষকে ইসলামের সকল শাখা-প্রশাখার মৌলিক বিষয় ও তার বিভিন্ন মতাবলম্বীদের আলোচনা, তুলনা ও সমাধানের উপায় শিখায়। মাদ্রাসা শিক্ষা মানুষকে ইসলামের সকল বিধি-নিষেধ, আইন-ফিকহ, আকীদা-কালাম, তাওহীদ-শিরক, বিদআত-সুন্নাত, ইমান-কুফর, ইজতিহাদ-তকলীদ, ইলম-আমল, জিহাদ-শান্তি, দাওয়াত-ইরশাদ, সহযোগিতা-মুসালহা, ইসলাম-অন্যান্য ধর্ম ও অনেক অনেক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান দেয়।
ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিন
আমরা আজকের এই আর্টিকেলের শুরুতেই আলোচনা করেছি। মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। এখন আমরা আলোচনা করব ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।ধর্মীয় শিক্ষা হলো আল্লাহ তাআলার প্রেরণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপনের শিক্ষা।
এটি মানুষকে সঠিক আকিদা, ইবাদত, আখলাক, মুআমালাত ও মুনাকাশাতের বিধি-বিধান শেখায়। এটি মানুষকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর প্রতি ভক্তি, আত্মশুদ্ধি, নৈতিকতা, সমাজসেবা ও শান্তির মূল্যবোধ উত্তেজিত করে। এটি মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জনের পথ দেখায়।ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
কারণ এটি মানুষকে আল্লাহ তাআলার মান্য বান্দা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অবহেলিত করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।
(সূরা তাওবা: ১২২)এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের কে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এটি তাদের জন্য একটি ফরজ কাজ। কারণ ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর আদেশ-নিষেধ, হালাল-হারাম, সুন্নাত-বিদআত ও অন্যান্য মাসআলা সম্পর্কে জানতে পারবেন না।
ফলে তারা দ্বীনের সঠিক পথে চলতে পারবেন না এবং বিভিন্ন ভুল ও গুনাহে পড়ে যাবেন।ধর্মীয় শিক্ষার ফজিলত অপরিমেয়। কারণ এটি মানুষকে আল্লাহ তাআলার কাছে মর্যাদা ও মান অর্জনের জন্য সাহায্য করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,আর তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।
(সূরা মুজাদালা: ১১)এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের কে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনের ফজিলত বোঝানোর জন্য উদাহরণ দিয়েছেন। এটি তাদের জন্য একটি বড় সৌভাগ্য। কারণ ধর্মীয় শিক্ষা দ্বারা তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর প্রিয় কাজ করতে পারেন।
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা প্রথমেই আলোচনা করে এসেছি। মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। সে বিষয়টুকু আশা করি আপনারা অনেক ভাল বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা আলোচনা করব ইসলামের শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে।ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য।ইসলাম হলো জ্ঞানের ধর্ম।
এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আল্লাহ তাআলা, যিনি সকল জ্ঞানের মালিক ও উৎস। আল্লাহ তাআলা মানুষকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে জ্ঞানের মাধ্যমে পরিচালিত করেছেন। আল্লাহ তাআলা মানুষকে জ্ঞান দিয়ে অন্যান্য প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, "আল্লাহ তাআলা আদমকে সকল বস্তুর পরিণতি শেখালেন।
তারপর তিনি বললেন, ফেরেশতাদেরকে, আমার প্রমাণ করে দেখাও, যদি তোমরা সত্যিই আমার কাছে গুণগ্রাহী হও।" (সুরা বাকারা, আয়াত ৩১)ইসলামে শিক্ষা হলো আল্লাহ তাআলার মারিফত, তাঁর আয়াত ও সৃষ্টির রহস্য জানার একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষা মানুষকে আল্লাহ তাআলার কাছে নিকট করে তোলে এবং তাঁর আদেশ-নিষেধের পালনে সহায়তা করে।
শিক্ষা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, "আল্লাহ তাআলা তাঁর বন্ধুদেরকে দুনিয়ায়ও সুখ দান করেন এবং তাঁরা আখেরাতের অংশীদারও।" (সুরা নাহল, আয়াত ৪১)।ইসলামে শিক্ষা দুই প্রকার: দীনী শিক্ষা ও দুনিয়াবী শিক্ষা। দীনী শিক্ষা হলো আল্লাহ তাআলার কোরআন, রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাহ ও ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো শিখার শিক্ষা।
দুনিয়াবী শিক্ষা হলো বিজ্ঞান, গণিত, ভূগোল, ইতিহাস, চিকিৎসা, কৃষি, বাণিজ্য ইত্যাদি শিখার শিক্ষা। ইসলাম উভয় প্রকার শিক্ষাকেই গুরুত্ব দিয়েছে এবং মানুষকে উভয় প্রকার শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎসাহিত করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, "আল্লাহ তাআলা তাঁর বন্ধুদেরকে দুনিয়ায়ও সুখ দান করেন এবং তাঁরা আখেরাতের অংশীদারও।
(সুরা নাহল, আয়াত ৪১)। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে কোনো একটি পথে যেতে যেতে যদি কেউ জ্ঞান অর্জন করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশের পথ সহজ করে দেবেন।" (সহীহ মুসলিম)।
ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা
ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা একটি সমালোচনা ইসলামী শিক্ষা বলতে আমরা বুঝি ইসলামের আলোকে মানবজীবনের সকল প্রাসঙ্গিক বিষয় যা আমাদের আকিদা, আইবাদাত, আখলাক, মুআমালাত, মুনাকাহাত, জিহাদ ও দাওয়াত সম্পর্কে জানানো হয়। ইসলামী শিক্ষা আমাদের দ্বীন ও দুনিয়ার উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামী শিক্ষা আমাদের আল্লাহ ও রাসূলের পথে চলার দিকে নির্দেশ করে এবং আমাদের আকহিরাতের সাফল্যের জন্য প্রস্তুত করে।আধুনিক শিক্ষা বলতে আমরা বুঝি বর্তমান যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কমার্স, একাউন্টিং, সাহিত্য, ভাষা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয় যা আমাদের দুনিয়াবী জীবনের সুবিধার জন্য প্রয়োজন।
আধুনিক শিক্ষা আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষা দুটি বিপরীত ধরনের শিক্ষা নয়, বরং এগুলো একে অপরের পূরক। ইসলামী শিক্ষা আমাদের দ্বীনি জীবনের নির্দেশনা দেয়, আধুনিক শিক্ষা আমাদের দুনিয়াবী জীবনের সহায়ক হয়।
ইসলামী শিক্ষা আমাদের আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি আত্মসমর্পণ করতে শিখায়, আধুনিক শিক্ষা আমাদের আল্লাহের সৃষ্টির বিস্ময় ও বৈচিত্র্য বুঝতে সাহায্য করে। ইসলামী শিক্ষা আমাদের আকহিরাতের সাফল্যের জন্য প্রস্তুত করে, আধুনিক শিক্ষা আমাদের দুনিয়ার সাফল্যের জন্য প্রস্তুত করে।তাই আমরা ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষাকে বিরোধী হিসেবে দেখবো।
না, বরং এগুলোকে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করবো। আমরা ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূলের পথে চলার দিকে উদ্দীপ্ত হবো এবং আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহের সৃষ্টির বিস্ময় ও বৈচিত্র্যের দিকে আকর্ষিত হবো। আমরা ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আল্লাহের রাসূলের বর্ণিত মধ্যপথে চলার দিকে যাবো। আমরা ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আল্লাহের পথে চলা।
সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব
সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব।ইসলাম হলো একটি সম্পূর্ণ জীবনযাপনের ধর্ম, যা আমাদের সকল কার্যকলাপের নির্দেশনা দেয়। আমাদের সন্তানদের কে ইসলামের মূল শিক্ষা দেওয়া আমাদের একটি প্রধান দায়িত্ব। কারণ, সন্তানরা আমাদের সমাজের ভবিষ্যতের সদস্য, যারা আল্লাহর দ্বারা নির্ধারিত শরীয়াহ অনুযায়ী জীবন যাপন করবে।
সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃসন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তারা আল্লাহর সৃষ্টি, একত্ব, সিফাত, নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে জানতে পারে। এতে করে তারা আল্লাহর প্রতি ভয়, ভক্তি, আশা ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারে।সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তারা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ যেমন।
শাহাদাত, সালাত, যাকাত, সাওম ও হজ্জ সম্পর্কে জানতে পারে। এতে করে তারা আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ মেনে চলতে পারে।সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তারা কুরআন ও হাদীসের বাণী শুনতে, পড়তে, বুঝতে ও আমলে রূপান্তর করতে পারে। এতে করে তারা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাত ও সীরাত অনুসরণ করতে পারে।
সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তারা ইসলামেরইতিহাস, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, আদর্শ ও আকীদা সম্পর্কে জানতে পারে। এতে করে তারা ইসলামের পতাকা উচ্চ করে রাখতে পারে।সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তারা আল্লাহর সৃষ্টির সম্মান, সহযোগিতা, সদাচার, সত্যতা, ন্যায়, শান্তি, ভাইচারা ও মানবতা সম্পর্কে জানতে পারে।
এতে করে তারা একজন সুসংস্কৃত, সুশিক্ষিত ও সুপাকা মুসলিম হতে পারে।সরাসরি, সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সন্তানদের কে ইসলামের আলোকে শিক্ষা দিয়ে তাদের জীবনের সফলতা ও আখেরাতের নাজাত নিশ্চিত করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলের কে এই দায়িত্ব পালনে সাহায্য করুক। আমীন।
সন্তানের হক আদায় না করার শাস্তি
সন্তান হচ্ছে আল্লাহর একটি বিশেষ নিয়ামত যা আমাদের জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করে তুলে। সন্তানের সাথে আমাদের একটি অটুট বন্ধন যা আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। কিন্তু এই নিয়ামতের সাথে আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে যা আমরা যথাযথভাবে পালন করতে বাধ্য। সন্তানের প্রতি আমাদের কিছু হক রয়েছে যা আমরা আদায় করলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রিয় হবো।
এবং সন্তানের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জিততে পারবো। কিন্তু যদি আমরা সন্তানের হক আদায় না করি বা তাদের প্রতি অবিচার করি তবে আমাদের শাস্তি পেতে হবে। এই আর্টিকেলে আমরা সন্তানের হক আদায় না করার শাস্তি সম্পর্কে জানবো।সন্তানের হক আদায় না করার শাস্তি কি সন্তানের হক আদায় না করার শাস্তি হচ্ছে আল্লাহর ক্রোধ, সন্তানের অবহেলা ও ঘৃণা, দুনিয়া ও আখিরাতের।
ক্ষতি ও নির্বাসন। আমরা এই শাস্তির বিস্তারিত নিচে দেখবো।আল্লাহর ক্রোধ: আল্লাহ তায়ালা আমাদের সন্তান দিয়েছেন যাতে আমরা তাদের ভালোভাবে লালন-পালন করি, তাদের ইসলামের শিক্ষা দিয়ে আল্লাহর আত্মসমর্পণ করি, তাদের আদর-সম্মান করি এবং তাদের সাথে সদৃশ্য বজায় রাখি। কিন্তু যদি আমরা এই কাজগুলো না করি বা তাদের প্রতি অবিচার করি।
তবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন:ও যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের সম্পত্তি ও সন্তান তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে না। যারা এমন করে তারা হল ক্ষতিগ্রস্ত।" (সূরা মুনাফিকুন: ৯)। সন্তানের অবহেলা ও ঘৃণা: সন্তানের হক আদায় না করলে সন্তানের মনে পিতা-মাতার প্রতি অবহেলা ও ঘৃণা জন্ম নেয়।
সন্তান তাদের কাছ থেকে ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা ও সহায়তা পেতে পারে না। সন্তান তাদের কাছে আশ্রয় খুঁজে না, বরং তাদের থেকে দূরে থাকতে চায়। সন্তান তাদের প্রতি কোন দায়িত্ব বা কর্তব্য অনুভব করে না, বরং তাদের প্রতি অবাধ্য হয়ে যায়। এই রকম সন্তান পিতা-মাতার বৃদ্ধাবস্থায় তাদের সাথে থাকে না, বরং তাদের পরিত্যাগ করে দেয়।
লেখক এর কথা: প্রিয় পাঠক আজকেরে আর্টিকেলটি পরে আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে জানতে পেরেছেন তা হল। মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত। ইসলাম শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য। ইসলামী শিক্ষা বনাম আধুনিক শিক্ষা। সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব। সন্তানের হক আদায় না করার শাস্তি।
আজকেরে আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি অনেক কিছু জানতেও শিখতে পারেন যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার বন্ধু আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।